লিভারের সমস্যা হলে কি লক্ষণ দেখা দেয়?
লিভার আমাদের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া, হজম, টক্সিন অপসারণ এবং বিভিন্ন হরমোন উৎপাদনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। কিন্তু এই লিভার যদি সঠিকভাবে কাজ না করে, তবে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় আমরা বুঝতেই পারি না যে আমাদের লিভারে সমস্যা হয়েছে।
আজকের
এই
ব্লগে
আমরা
জানবো:
- লিভারের কাজ কী
- লিভারের সমস্যার সাধারণ ও মারাত্মক লক্ষণ
- কখন ডাক্তার দেখানো উচিত
- প্রতিকার
ও
করণীয়
লিভারের প্রধান কাজ কী?
লিভার
প্রতিদিন শত
শত
রাসায়নিক প্রক্রিয়া সম্পাদন করে,
যার
মধ্যে
প্রধান
হলো:
✅ খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করা
✅ রক্ত
থেকে
বিষাক্ত পদার্থ
ছেঁকে
ফেলা
✅ প্রোটিন, কোলেস্টেরল ও
এনজাইম
তৈরি
করা
✅ গ্লাইকোজেন স্টোর
করা
✅ বাইল
(bile) তৈরি
করা,
যা
চর্বি
হজমে
সহায়তা করে
লিভারের সমস্যা হলে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে
১. চামড়া ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া (জন্ডিস)
লিভার
ঠিকমতো
বিলিরুবিন প্রসেস
করতে
না
পারলে
এটি
রক্তে
জমে
যায়
এবং
জন্ডিস
হয়।
এটি
লিভার
সমস্যার সবচেয়ে
পরিচিত
লক্ষণ।
২. পেটে ফাঁপা ও ব্যথা
লিভার
বড়
হয়ে
গেলে
বা
প্রদাহ
হলে
ডান
পাশের
পেটে
ব্যথা,
অস্বস্তি বা
চাপ
অনুভূত
হয়।
৩. মল ও প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন
গাঢ়
রঙের
প্রস্রাব ও
হালকা
রঙের
মল
– এটি
লিভারের বাইল
প্রবাহ
ব্যাহত
হলে
ঘটে।
৪. বমি ভাব ও খাওয়ার অরুচি
লিভারের কার্যক্ষমতা কমে
গেলে
হজমজনিত সমস্যা
দেখা
দেয়,
যার
ফলে
ক্ষুধা
কমে
যায়
ও
বমি
ভাব
হতে
পারে।
৫. চর্মে চুলকানি ও দাগ
লিভারের বাইল
জমে
গেলে
শরীরে
ত্বকে
চুলকানি শুরু
হয়।
৬. অত্যন্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা
লিভার
ঠিকমতো
কাজ
না
করলে
শরীর
পর্যাপ্ত শক্তি
তৈরি
করতে
পারে
না,
ফলে
সারাক্ষণ ক্লান্তিভাব থাকে।
৭. পেট ফাঁপা বা অ্যাসাইটিস
পেটের
ভিতরে
পানি
জমে
পেট
ফুলে
যায়,
যা
অনেক
সময়
লিভার
সিরোসিস বা
হেপাটাইটিসের লক্ষণ
হতে
পারে।
৮. হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
অবাঞ্ছিত ওজন
হ্রাস
হলে
তা
লিভারের দীর্ঘস্থায়ী রোগের
ইঙ্গিত
হতে
পারে।
কখন দেখাবেন গ্যাস্ট্রোলিভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার?
নিম্নোক্ত লক্ষণগুলোর কোনো
একটি
দীর্ঘদিন ধরে
থাকলে
অবশ্যই
একজন
গ্যাস্ট্রোলিভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার-এর
পরামর্শ নেওয়া
উচিত:
- চোখ ও চামড়ায় হলদে ভাব
- দীর্ঘদিন
পেটে ব্যথা ও
ফাঁপা
- খাওয়ার অরুচি ও হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
- মল বা প্রস্রাবের
অস্বাভাবিক রঙ
- অতিরিক্ত
ক্লান্তি ও
দুর্বলতা
প্রতিকার ও করণীয়
- সুষম
খাবার খাওয়া: কম চর্বি, বেশি সবজি ও প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন
- ধূমপান
ও অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকা
- ওজন
নিয়ন্ত্রণে রাখা
- নিয়মিত
রক্ত পরীক্ষা ও স্বাস্থ্যচর্চা করা
- হেপাটাইটিস
বি ও সি’র টিকা নেওয়া
উপসংহার
লিভার
শরীরের
একটি
অতীব
গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
এর
যেকোনো
সমস্যাকে অবহেলা
করা
বিপজ্জনক হতে
পারে।
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ
ধরা
পড়লে
তা
সহজেই
নিয়ন্ত্রণে আনা
সম্ভব।
তাই
উপরে
উল্লিখিত লক্ষণগুলো দেখা
দিলে
দেরি
না
করে
একজন
গ্যাস্ট্রোলিভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার-এর
শরণাপন্ন হোন।

Comments
Post a Comment