হাড় ক্ষয়ের লক্ষণ কী কী? জানুন প্রাথমিক ধাপেই!
শরীরের মূল ভিত্তি হলো হাড়। এই হাড় যদি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যায় বা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, তখন তা শরীরের ভারসাম্য, চলাফেরা এমনকি জীবনযাত্রা পর্যন্ত প্রভাবিত করতে পারে। হাড় ক্ষয় (Osteoporosis) একটি নীরব ঘাতক রোগ – এটি অনেক সময় বোঝা যায় না, যতক্ষণ না হাড় ভেঙে যায় বা তীব্র ব্যথা শুরু হয়।
এই
ব্লগে
আলোচনা
করবো:
- হাড় ক্ষয় কী
- এর লক্ষণগুলো
কীভাবে চিনবেন
- কখন দেখা উচিত একজন হাড় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর সঙ্গে
- প্রতিরোধ
ও
প্রতিকার
হাড় ক্ষয় কী?
হাড়
ক্ষয়
বা
অস্টিওপোরোসিস হলো
এমন
একটি
অবস্থা,
যেখানে
হাড়
ধীরে
ধীরে
পাতলা
ও
দুর্বল
হয়ে
যায়।
এতে
হাড়ের
ঘনত্ব
কমে
যায়
এবং
সামান্য আঘাতেই
হাড়
ভেঙে
যেতে
পারে।
সাধারণত এটি
বয়স
বৃদ্ধির সঙ্গে
সঙ্গে
ঘটে,
তবে
নারী,
বিশেষ
করে
মেনোপজ-পরবর্তী নারীদের মাঝে এটি বেশি
দেখা
যায়।
হাড় ক্ষয়ের প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণসমূহ
১. পিঠে বা কোমরে ধীরে ধীরে ব্যথা বৃদ্ধি
বিভিন্ন সময়
বসে
থাকা
বা
দাঁড়ানোর সময়
পিঠে
বা
কোমরে
ব্যথা
হলে
এটি
হাড়
ক্ষয়ের
প্রাথমিক লক্ষণ
হতে
পারে।
২. উচ্চতা কমে যাওয়া
ধীরে
ধীরে
উচ্চতা
কমে
যাওয়া
বা
ঝুঁকে
হাঁটা
শুরু
করলে
বুঝতে
হবে
আপনার
হাড়ে
কিছু
একটা
সমস্যা
হচ্ছে।
৩. অল্প আঘাতে হাড় ভেঙে যাওয়া
যখন
খুব
সামান্য ধাক্কা
বা
পড়ে
গিয়েই
হাড়
ভেঙে
যায়
– তখন
তা
হতে
পারে
অস্টিওপোরোসিসের লক্ষণ।
৪. শরীরের গঠন পরিবর্তন
মেরুদণ্ড বাঁকা
হয়ে
যাওয়া,
ঘাড়
নেমে
যাওয়া
কিংবা
বুকের
আকৃতি
পরিবর্তন হওয়া
– এসবও
হাড়
ক্ষয়ের
ইঙ্গিত
হতে
পারে।
৫. পায়ের পাতায় ব্যথা ও ভারসাম্য হারানো
হাড়
দুর্বল
হলে
শরীর
ভারসাম্য রাখতে
পারে
না,
ফলে
হঠাৎ
পড়ে
যাওয়ার
ঝুঁকি
বাড়ে।
৬. হাতে-পায়ে বারবার ব্যথা
নিয়মিত
হাতে-পায়ে ব্যথা হলে
এবং
তা
বিশ্রামেও কমে
না,
তখন
হাড়
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া
প্রয়োজন।
কখন দেখা উচিত হাড় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর সাথে?
যদি
উপরোক্ত লক্ষণগুলোর একাধিকটি আপনার
মধ্যে
দেখা
যায়,
তাহলে
দেরি
না
করে
যোগাযোগ করুন
একজন
হাড় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর
সঙ্গে।
বিশেষ
করে:
- যদি আপনি ৪৫ বছরের বেশি বয়সী হন
- নারীরা যারা মেনোপজে পৌঁছেছেন
- পরিবারের
কারও অস্টিওপোরোসিসের ইতিহাস থাকলে
- বারবার হাড় ভাঙার ইতিহাস থাকলে
হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে করণীয়
১. ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন D সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
দুধ,
দই,
পনির,
ছোট
মাছ,
ডিম
ও
রোদে
ভিটামিন D গ্রহণ
হাড়কে
শক্তিশালী করে।
২. নিয়মিত ব্যায়াম
ওয়াকিং, ইয়োগা
বা
হালকা
ব্যায়াম হাড়ের
ঘনত্ব
বাড়াতে
সাহায্য করে।
৩. ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন
এসব
অভ্যাস
হাড়
দুর্বল
করে,
তাই
তা
পরিহার
করা
জরুরি।
৪. নিয়মিত হাড়ের পরীক্ষা (Bone Density Test)
বিশেষ
করে
বয়স
৫০
পার
হলে
নিয়মিত
হাড়ের
স্ক্যান করানো
উচিত।
৫. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন
হাড়
ক্ষয়ের ক্ষেত্রে ওষুধ
ও
থেরাপির মাধ্যমে রোগ
নিয়ন্ত্রণে রাখা
সম্ভব।
উপসংহার
হাড়
ক্ষয়
একটি
ধীরে
ধীরে
গঠিত
হওয়া
স্বাস্থ্য সমস্যা। শুরুতে
বোঝা
না
গেলেও
সচেতনতা থাকলে
এর
লক্ষণগুলি শনাক্ত
করা
যায়
এবং
সঠিক
সময়ে
চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিকার সম্ভব
হয়।
তাই,
শরীরে
উপরের
যেকোনো
লক্ষণ
দেখা
দিলে
দেরি
না
করে
একজন
অভিজ্ঞ
হাড় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর
পরামর্শ গ্রহণ
করুন।
হাড়ের যত্ন মানেই সুস্থ ভবিষ্যৎ – আজ থেকেই সচেতন হোন, স্বাস্থ্যকর জীবন গড়ুন!
Comments
Post a Comment